উঁকি দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্গা | কাঞ্চনজঙ্ঘা কোথায় অবস্থিত
কাঞ্চনজঙ্গা
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় এর তেতুলিয়াসহ রংপুর জেলার উত্তর অংশ থেকে দেখা যাচ্ছে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা।মেঘমুক্ত হেমন্তের নীল আকাশের পটভূমিকায় দেখা মিলছে হিমালয় এর দ্বিতীয় উচ্চতম এবং পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম এই পর্বত শৃঙ্গের।সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা মিললে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকেরা পঞ্চগড়ে এসে ভিড় করেন। তবে আকাশে মেঘ ও কুয়াশার কারণে শুরুতে দেখা না গেলেও সপ্তাহ খানেক থেকে দেখা যাচ্ছে পর্বতচূড়া টি ।আর এর দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই পর্যটকের আগমন ঘটছে এ জেলায়।খালি চোখে কাঞ্চনজঙ্গা দেখার আদর্শ জায়গা সীমান্ত নদী মহানন্দাতীরের তেতুলিয়া।
বাংলাদেশ এর অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান বঙ্গবন্ধু মিলিটারি মিউজিয়াম এ ঘুরে আসুন আজই।
তেতুলিয়া জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, পিকনিক স্পট সহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখা যায় পর্যটকরা মুগ্ধ চোখে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করছে। কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে কেউ বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে ডাকবাংলোর সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন অনেকে।ছবি তুলে ভিডিও করে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।জানা যায়, সূর্যের আলোর কারণে কখনো সাদা কখনো লাল রং নিয়ে হাজির হয় বরফে আচ্ছাদিত এই পর্বতচূড়া।এর সৌন্দর্য উপভোগ করার মোক্ষম সময় ভোর ও সকাল বেলা।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা ঝাপসা হয়ে গেলে তখন রং সাদা।
প্রতি বছর নভেম্বর মাসে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেল সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে উকি দিতে শুরু করেছে।বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবছর আকাশে মেঘ মুক্ত অর্থাৎ আকাশ পরিষ্কার থাকায় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ।এবছর পর্যটকদের আগমন বেশি হচ্ছে বলে জানা যায় শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘা পঞ্চগড় থেকে সন্ধ্যায় তাকে মেরে ভারতের দার্জিলিং এর বিভিন্ন পাহাড়ি সামগ্রী তেতুলিয়া ডাকবাংলো দাঁড়িয়ে উত্তরের পাহাড়ের দিকে তাকালে দেখা যায় শিলিগুড়ি।তেতুলিয়া শহর থেকে মাত্র দেড়শ কিলোমিটার দূরে তুষারে আচ্ছাদিত শ্বেতশুভ্র হিমালয় পর্বত ও কাঞ্চনজঙ্ঘার অবস্থান।
কাঞ্চনজঙ্ঘা কোথায় অবস্থিত
কাঞ্চনজঙ্ঘা মাউন্ট এভারেস্টের ১২৫ কি.মি. পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত।হিমালয়ের দ্বিতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ হল এই কাঞ্চনজঙ্গা। এর পাঁচটি মূল শৃঙ্গের মধ্যে তিনটা হল মুখ্য, কেন্দ্ৰীয় এবং দক্ষিণ ভারতের উত্তর সিক্কিম জেলায়, এবং নেপাল সীমান্তে অবস্থিত।বাকী দুটি শৃঙ্গ নেপালের তাপ্লেজুং জেলায় অবস্থিত।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে নেপালের দূরত্ব মাত্র ৬১ কিলোমিটার। ভুটানের দূরত্ব ৬৪ কিলোমিটার দার্জিলিং এর দূরত্ব ৫৮ এবং শিলিগুড়ি দূরত্ব ৮ কিলোমিটার।রংপুর থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে আসা নবদম্পতির তারা জানান ফেসবুক-ইউটিউবে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এসেছেন।আকাশ মেঘলা থাকায় গত ৫-৭ দিল দেখতে না পাওয়া গেলেও গত ২-৩ দিন থেকে দেখেছেন এ কথা জানান রাজশাহী থেকে আসা একজন।ঢাকা থেকে পড়তে আসা অনেকে জানান গত বছর শেষে তাঁকে না পেলেও এবার পরিবার নিয়ে এসে দেখা শুরু করেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা।এখানকার টুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, সারাবছর এখানে পর্যটকদের আগমন ঘটলেও শীতের সময় বেশি থাকে এবারও পর্যটকরা আসছেন তাদের নিরাপত্তায় পুলিশ থানা ও পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে।