ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু বাংলাদেশে | ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও করনীয়

দুই দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে দেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব চলছে।তবে পাচ বছর ধরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মৃত্যু বেশি হচ্চে।চলতি বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১০৬ জন মানুষ।দেশের ইতিহাসে এক বছরে এটি ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।আজকে আমরা জানতে পারব

যে সকল বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনা

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২২
ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ চিকিৎসা
ডেঙ্গু জর কতদিন থাকে
বাচ্চার ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ
ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে;ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে;ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা; 

ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু বাংলাদেশে

আমরা জানি গত ২৪ ঘণ্টায়(১০-২০-২০২২)ডেঙ্গু রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ জন।জনস্বাস্থ্য ও মশা নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা বলছেন,এ মাসে থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টি এডিস মশার বংশবিস্তারে প্রভাব ফেলেছে।এবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শিশুর সংখ্যাই বেশি।তাঁদের আশঙ্কা, আগামী নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বারতে পারে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর বছর ভিত্তিক তথ্য রাখছে।দেখা যায় যে,ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল ২০১৯ সালে।ওই বছর সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন এবং ডেঙ্গু রোগে মৃত্যু হয়েছে ১৭৯ জনের।

তবে প্রথম আলো ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০০ লোক প্রাণ হারান।গত বছর মারা যান ১০৫ জন। সাধারণত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর মৌসুম ঘোষণা করা হয়, তবে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস মূল মৌসুম। চলতি বছর জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে আগস্ট মাসে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে তিন হাজার জন।  সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হন ৯ হাজার ৯১১ জন মানুষ। অক্টোবর মাসের প্রথম ১৯ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১ হাজার ৭১০ জন রোগী।

  • এবার ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যু বেশি হচ্চে শিশুদের

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২২

এত দিন ধারনা ছিল ডেঙ্গু রোগ ঢাকা কেন্দ্রিক।কিন্তু চলতি বছর কক্সবাজারের উখিয়্যা-টেকনাফে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর ঢাকা মহানগরীতে ডেঙ্গু রোগে মারা গেছেন ৬২ জন(অক্টোবর মাস পর্যন্ত)এর বাইরে চট্টগ্রামে ১২ জন, বরিশালে ৫ জন, খুলনায় ৩ জন এবং ফেনি,ময়মনসিংহ ও নরসিংদীতে ১ জন করে মারা গেছেন।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষনঃ-

  • ডেঙ্গু রোগের লক্ষন সাধারনত ৩-১৪ দিন পর ধারনা করা যায়
  • ডেঙ্গু রোগের লক্ষনের মধ্যে মাথা বাথা, জর, বমি ইত্যাদি খুবই সাধারণ।এই লক্ষণগুলো বেশিদিন স্থায়ী হতে দেখা যায় না
  • তবে ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম অতান্ত মারাত্মক একটি জিনিস।যার ফলে শ্বাসকষ্ট, প্লাজমা লিক, এবং মারাত্মক রক্তপাত হতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে

আমাদের মধ্যে অনেক মানুষের জানার আগ্রহ থাকে যে ডেঙ্গু হলে ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে।ডেঙ্গু জর কোন ছয়াচে রোগ নয়।ডেঙ্গু জ্বর হলে সাধারণত এটি ২-৭দিন স্থায়ী হয়ে থাকে।তবে এডিস মশকি কামড়ের ৩-১৫ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু রোগের উপসর্গগুলো দেখা যায়।এসবের মধ্যে ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম মারাত্মক হলে রোগীর ঝুকি বেড়ে যায়।তবে বিশেষ সাবধানতা অভলম্বন ও ডাক্তারের পরামর্শ মত চলছে আশংকা অনেক কমে যায়।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে

ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে খাবারের রুচি একটু কমে যায় বা কিছু খেতে মন চায় না।এমতবস্থায় ডাক্তাররা নিচের খাবারগুলো সাজেস্ট করে থাকেন।যার মধ্যে ফল জাতীয় খাবার এর প্রাধান্যই বেশি।

  • পালংশাক
  • কমলা
  • কিউইফল
  • পেঁপে
  • ডালিম
  • ডাব ইত্যাদি পুষ্টিকর ফল সমুহ
সেই সাথে অবশ্যই মশলা জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।তৈলাক্ত ও ভাজা পোড়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বর হলে শরির এর তাপমাত্রা সাধারনত ৯৮ ডিগ্রি থেকে ১০৬ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে।তাই আমাদের সতর্ক থাকা জরুরি।ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী বেশিরভাগই 'এ' ক্যাটাগরির। তাই তাঁদের জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা যথেষ্ট।

ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসাঃ-ডেঙ্গু রোগ হলে তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই বিশেষ করে ডাবের পানি, লেবুর শরবত, বিভিন্ন ফলের জুস ও খাবার স্যালাইন।ডেঙ্গুতে আকান্ত রোগীকে কোন প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক ঔসদ সেবল করতে দেওয়া যাবে না, তবে জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল দেওয়া যাবে।এর পরও যদি ওই রোগীর অন্য কোন সমস্যা আগে থেকেই থেকে থাকে তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔশধ সেবন করতে হবে।ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেটি দরকার সেটি হচ্চে পরিপূর্ণ বিশ্রাম গ্রহন।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
Post-by: Admin-Sobnews