মেহেরপুর জেলার আয়তন | মেহেরপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
মেহেরপুর জেলা বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক
অঞ্চল।মহান মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত স্বাধীনতার সূতিকাগার জেলা এই
মেহেরপুর।আজকে আমরা জানবো মেহেরপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত মেহেরপুর জেলার আয়তন
মেহেরপুর জেলার উপজেলাসমূহ মেহেরপুর জেলায় কয়টি থানা রয়েছে এই সম্পর্কে
বিস্তারিত ভাবে।
তাসাহুদ।আত্তাহিয়াতু সুরা ।দোয়া মাসুরা । দোয়া কুনুত ।দরুস শরীফ সম্পর্কে
জানতে ক্লিক করুন
যে সকল বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনামেহেরপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
মেহেরপুর জেলার ইতিহাস
মেহেরপুর জেলার আয়তন
মেহেরপুর জেলার উপজেলাসমূহ
মেহেরপুর জেলায় কয়টি থানা রয়েছে
মেহেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
মেহেরপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
মেহেরপুর জেলার ইতিহাস
চলুন শুরু করা যাক মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রবাসী সরকার গঠন এবং
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয় মেহেরপুর
জেলাকে। মেহেরপুর নামকরণ নিয়ে দুটি জনশ্রুতি রয়েছে। মেহেরপুর নামকরণ এর
মধ্যে ইসলাম প্রচারক দরবেশ মেহের আলী নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ষোড়শ শতকে
অথবা এর কিছুক্ষণ পরে মেহেরপুর নামকরণ সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারনা করা হয়।
অন্যমতে, পূর্ববঙ্গ রেলওয়ের বাংলা ভ্রমণ গ্রন্থে বিখ্যাত বচনকার মিহির ও তার
নিজের পুত্রবধূ খনা ভৈরব নদীর তিরস্থ অঞ্চলে বাস করতেন। তাঁর
নামানুসারে প্রথমে মিহিরপুর ও পরবর্তীতে অপভ্রংশে মেহেরপুর নামকরণ হয়েছে বলে
অনুভব করা হয়।
জেনে নিনঃ কিশোরগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত । নামাজের ফরজ কয়টি
মেহেরপুর জেলার আয়তন
চলুন শুরু করা যাক।১৯৮৪ সালে কুষ্টিয়া থেকে পৃথক করে মেহেরপুরকে স্বতন্ত্র
জেলার মর্যাদা দেওয়া হয়।চলুন জেনে নেই মেহেরপুর জেলার আয়তন সম্পর্কে।মেহেরপুর জেলার আয়তন ৭১৬.০৮ বর্গ কিলোমিটার। মেহেরপুর জেলা তিনটি উপজেলা, তিনটি থানা এবং দুটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।মেহেরপুর জেলা উত্তরে কুষ্টিয়া ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ দক্ষিণে চুয়াডাঙ্গা এবং পশ্চিমবঙ্গ পূর্বে কুমিল্লা এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত।
মেহেরপুর জেলার আয়তন | মেহেরপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
মেহেরপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
আমরা ইতিমধ্যে জেনে গেছি মেহেরপুর জেলার আয়তন মেহেরপুর জেলার উপজেলা
সমূহ এবং মেহেরপুর জেলায় কয়টি থানা রয়েছে এই সম্পর্ক এখন আমরা জানবো
মিরপুরের দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে এবং মেহেরপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
এই সম্পর্কে। চলুন প্রথমে জেনে নিই মেহেরপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত।মেহেরপুর জেলা মূলত ঐতিহ্যবাহী রসকদম্ব এবং সারিত্রি মিষ্টির জন্য বিখ্যাত।মুক্তিযুদ্ধের নানান কর্মকাণ্ডের জন্যও বিখ্যাত এই মেহেরপুর।এখানকার মিষ্টি আম ও
সারিত্রি খেতে সুস্বাদু বলে সবার কাছে সুপরিচিত।
আরও : গোসলের ফরজ কয়টি | ওযুর ফরজ কয়টি
মেহেরপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পারলাম মেহেরপুর জেলার ইতিহাস মেহেরপুর জেলার আয়তন
সম্পর্কে এবং মেহেরপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এখন মেহেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান ও
মেহেরপুর জেলার উপজেলা সমূহ সম্পর্কে আমরা নিচে বিস্তারিত জানতে পারবো।
মেহেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলা গ্রামে শপথ গ্রহণ করেছিল
মুজিবনগর সরকারে। মুজিবনগর সরকারের স্বাধীন বাংলাদেশের কথা সারা বিশ্ব
আনুষ্ঠানিকভাবে জানে এই মেহেরপুর থেকেই।মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ অবদান রয়েছে এই
মেহেরপুর জেলার।১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার
গঠিত হয়।এই সরকার মুজিবনগর সরকার বা প্রবাসী সরকার হিসেবে বহুল পরিচিত।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে, সত্তরের নির্বাচনে জনগণের নির্বাচিত সদস্যদের
নিয়ে গঠিত হয় এবং সরকার লতিফ সরকার।
জেনে নিনঃ কিভাবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করবেন এবং ১৬ থেকে ১৭ ডিজিট করবেন
মেহেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
মেহেরপুর জেলার ইতিহাস মেহেরপুর জেলার আয়তন সম্পর্কে এবং মেহেরপুর কিসের
জন্য বিখ্যাত মেহেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান ও মেহেরপুরে উপজেলা সমূহ সম্পর্কে
আমরা জানলাম। চলুন জেনে নিই মেহেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্বন্ধে।
- মুজিবনগর স্মৃতি মিনার
- ঝিলের জলে শাপলা
- আমঝুপিতে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী নীলকুঠি,
- আম্রকানন
- মেহেরপুর জেলার আরেকটি উল্লেখযোগ্য স্থান স্বামী নিগমানন্দ আশ্রম
- মেহেরপুর গাংনী উপজেলার শান্ত গ্রামে গড়ে ওঠা এক ব্যতিক্রমধর্মী বিদ্যাপীঠ জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- আমদহ গ্রামের স্থাপত্য নিদর্শন বল্লভপুর চার্চ ।
- শেখ ফরিদের দরগাহ
- 500 শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল
- মুজিবনগর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ
- মেহেরপুর আমঝুপি নীলকুঠি জাদুঘর যা 77 একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত
- আরওঃ অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করন মাত্র ২ মিনিটে।
মেহেরপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের জন্ম সেই মেহেরপুর জেলায়
তাদের মধ্যে অন্যতম
- মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মরণোত্তর স্বাধীনতা সংগ্রাম পুরস্কারপ্রাপ্ত এমএ হান্নান
- এবং মরণোত্তর স্বাধীনতা সংগ্রাম পুরস্কারপ্রাপ্ত শাহ আলম
- লেখক দিরেন্দ্র কুমার রায়
- ধর্ম সংস্কারক স্বামী নিগমানন্দ
- প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সহ লেখক রফিকুল রশিদ
- এবং প্রবাসী সরকারের সাংসদ মোঃ সহিউল্লাহ উল্লেখযোগ্য।
- রাজশাহী কিসের জন্য বিখ্যাত । নোয়াখালী কিসের জন্য বিখ্যাত
মেহেরপুর জেলার জনসংখ্যা কত
এই জেলার জনসংখ্যা প্রায় ৬৫৫৩৯২৫ জন। ১৯৮৪ সালে কুষ্টিয়া থেকে পৃথক করে
মেহেরপুরকে স্বতন্ত্র জেলার মর্যাদা দেওয়া হয়।মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপ্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক করে সরকার
ঘোষণা করা হয় মেহেরপুর জেলা। মেহেরপুর জেলা অবিভক্ত নদীয়া জেলার প্রাচীন
ঐতিহ্যবাহী একটি জেলা। নদীয়া জেলা অবিভক্ত বাংলার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের
প্রাণকেন্দ্র ছিল। বাউল গীতি, জারি, ভাটিয়ালি এবং যাত্রা গান, লালন গানের চর্চা
হত এই অঞ্চলে।
মেহেরপুর কিসের জন্য বিখ্যাত
আমরা ইতিমধ্যেই জানিয়ে গেলাম মেহেরপুর জেলার ইতিহাস মেহেরপুর জেলার আয়তন
সম্পর্কে এবং মেহেরপুর কিসের জন্য বিখ্যাত মেহেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান ও
মেহেরপুর জেলার উপজেলা সমূহ সম্পর্কে।
আরও : গোসলের ফরজ কয়টি | ওযুর ফরজ কয়টি
মেহেরপুর জেলার উপজেলা কয়টি
মেহেরপুর জেলায় ৩ টি উপজেলা রয়েছে।গাংনি, মুজিবনগর এবং মেহেরপুর সদর। 2000 সালের
24 শে ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর সদর উপজেলা বিভক্ত হয়ে মুজিবনগর উপজেলার সৃষ্টি হয়
বাংলাদেশের উচ্চতম জেলা গুলোর মধ্যে একটি মেয়ের মেহেরপুর জেলা ।জেনে নিনঃ সিরাজগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত | নীলফামারী কিসের জন্য বিখ্যাত
এছারাও এখানে
রয়েছে
- ৭ টি মহাবিদ্যালয়
- ৩১৬ টি সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- ৩ টি টেকনিকাল স্কুল ও কলেজ।
আপনারা জানতে পারলেন মেহেরপুর জেলার আয়তন | মেহেরপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত |মেহেরপুর জেলার ইতিহাস |মেহেরপুর জেলার উপজেলা সমূহ| মেহেরপুর জেলার জনসংখ্যা কত |মেহেরপুর জেলার বিখ্যাত ব্যাক্তি । মেহেরপুর কিসের জন্য বিখ্যাত।মেহেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ।এবং মেহেরপুর জেলার আয়তন ও মেহেরপুর জেলার ইতিহাস সম্পর্কে ।
ধন্যবাদ সবাইকে।